প্রকাশ :
২৪খবর বিডি: 'উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে নেত্রকোণা জেলা সদর, বারহাট্টা, কলমাকান্দা, দুর্গাপুর, পূর্বধলা ও মোহনগঞ্জ উপজেলায় বিস্তীর্ণ জনপদ তলিয়ে গেছে। '
ভারী ঢলে এসব এলাকার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জেলা সদর বা ময়মনসিংহের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
'নেত্রকোণা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহন লাল সৈকত বলেন, ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোণার প্রধান নদী সোমেশ্বরী, কংস, ধনু, উব্দাখালিসহ ছোট-বড় সব নদ- নদীর পানি বাড়ছে। উব্দাখালি নদীর কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপদসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।'
-নেত্রকোণা সদর উপজেলার মেদনী, কেগাতী, ঠাকুরাকোনা, মৌগাতী ইউনিয়নের কমপক্ষে ২০টি গ্রামে বাড়িঘর, সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। বারহাট্টার সিংধা, বাউসী, রায়পুর, আসমা, দুর্গাপুর পৌরসভাসহ সাতটি ইউনিয়নে পানি প্রবেশ করেছে। দুর্গাপুর পৌর সদরে কোমরসমান পানি, মোহনগঞ্জের সাত ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে।
'সব চেয়ে খারাপ অবস্থা কলমাকান্দা, দুর্গাপুর ও বারহাট্টার। ওইসব এলাকার বিভিন্ন ইউনিয়নের সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে।'
'বাড়িঘর, দোকান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি- বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে এখন বন্যার পানিতে প্লাবিত। উপজেলার সঙ্গে সব ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। '
'কলমাকান্দা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, চান্দুয়াই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, উদয়পুর উচ্চ বিদ্যালয়সহ বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
চাল, শুকনো খাবার ও নগদ টাকা বিতরণ করা হচ্ছে। গবাদি পশু রাখার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে নেত্রকোণায় বন্যা, ময়মনসিংহের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ
'সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা গ্রামের কৃষক ইমরান শাহ ফকির বলেন, ‘শুনেছি ৮৮ সালের বন্যায় মানুষের বাড়ি ঘরে পানি ঢুকেছিল। এরপর আর এমন পানি দেখিনি। এবার বাড়ির উঠানে পানি ঢুকে পড়েছে। ঘর থেকে বের হতে পারছি না।'
'নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে বন্যা কবলিত কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর উপজেলায় ২০ মেট্রিক টন করে চাল ও নগদ দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বন্যাকবলিত মানুষের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। গবাদি পশুকে নিরাপদ স্থানে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে শুকনো খাবারসহ ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত আছে।'